বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কম্পিউটার তৈরি করলেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। চালের দানার থেকেও ছোট, আকারে ০.৩ মিলিমিটারের এই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে মিশনগান মাইক্রো মোট।
এর মধ্যে আছে র্যাম, প্রসেসর, বেতার ট্রান্সমিটার, রিসিভার, ফোটোভলটাইক্সের মতো যন্ত্রপাতি। তবে এই যন্ত্রটিকে কম্পিউটার বলতে এখনই রাজি নয় আবিষ্কারক বিজ্ঞানী দল।
সেই দলের নেতা, অধ্যাপক ডেভিড ব্লাও বলছেন, এই যন্ত্র নিয়ে আরও বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরই তাঁরা বুঝতে পারবেন এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা। গত বৃহস্পতিবার এই গবেষণাপত্রটি জনসমক্ষে আনেন গবেষকরা।
ডেস্কটপ যেমন পাওয়ার ব্যাকআপ ছাড়াই প্রোগ্রাম ডেটা ফের খুঁজে নিতে পারে, এই ছোট্ট কম্পিউটারে তা সম্ভব নয়। এর সুইচ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব প্রোগ্রাম ডেটা হারিয়ে যাবে। এত ছোট যন্ত্রে কনভেশনাল রেডিও অ্যান্টেনা বসানো সম্ভব হয়নি। তাই আলোর মাধ্যমেই এতে তথ্য আদানপ্রদান হয়। এতে আছে প্রিসিশন টেম্পারেচার সেন্সর।
রেডিওলজি এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়রিং’র অধ্যাপক গ্যারি লুকার বলছেন, ওই যন্ত্রটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় দারুনভাবে কাজে দিতে পারে। কারণ, ওই তাপমাত্রা অনুধাবনকারী যন্ত্রটি মানুষের শরীরে টিউমার এবং সাধারণ টিস্যুর তাপমাত্রার তারতম্য ধরতে পারবে, যা ক্যান্সারের চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।